সালেহ্ বিপ্লব: [৩] মার্কিন সংস্থা গোল্ডম্যান শ্যাক্সের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। একটি দেশের বর্ধিত জনসংখ্যা, শ্রমশক্তি এবং বিপুল প্রতিভার জন্য প্রশিক্ষণ ও দক্ষতাকে সম্ভাবনা ধরে অর্থনীতির এ পূর্বাভাস দেয় সংস্থাটি। 

[৪] প্রতিবেদনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে মোট জিডিপির পরিমাণ ধরা হয়েছে ৫০ লাখ ৬ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে জিডিপির আকার ছিলো ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। 

[৫] সংস্থাটি বলছে, ২০৭৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপি বা মোট দেশজ উৎপাদনের আকার দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার বা ৬৮৬ দশমিক ৭ লাখ কোটি টাকা। এটি চলতি অর্থবছরে সরকারের প্রাক্কলিত জিডিপির চেয়ে ৬৩৬ লাখ কোটি টাকা বেশি হবে।  

[৬] এই সময় বাংলাদেশের অর্থনীতি সৌদি আরব, কানাডা, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, মালয়েশিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে ছাড়িয়ে যাবে।

[৭] বর্তমানে বৃহৎ অর্থনীতির দেশের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরপর যথাক্রমে চীন, জাপান, জার্মানি এবং ভারত। 

[৮] গোল্ডম্যানের স্যাক্সের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৭৫ সালে সবচেয়ে বৃহৎ অর্থনীতির তালিকায় চীন ও ভারতের পর থাকবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শীর্ষ পনেরো তালিকায় এরপর থাকবে ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, মিশর, ব্রাজিল, জার্মানি, মেক্সিকো, যুক্তরাজ্য, জাপান, রাশিয়া, ফিলিপাইন ও ফ্রান্স। 

[৯] এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ও বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক ড. এমকে মুজেরি বলেন, গোল্ডম্যান শ্যাক্সের জিডিপি আউটলুক ২০৭৫-এ বিকাশমান অর্থনীতির দেশগুলোকে সম্ভাবনাময় বলা হয়েছে। সে হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনীতি গত দুই দশক ধরে দ্রুত এগোচ্ছে। যদিও করোনা মহামারির কারণে জিডিপি অর্জন কিছুটা শ্লথ হয়েছিল, তবে এখন আবার অর্থনীতি গতি ফিরে পাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে ২০৭৫ সালে বাংলাদেশ কাক্সিক্ষত গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

[১০] তিনি আরো বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। বিশেষ করে প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি হিসেবে নতুন নতুন খাত বের করতে হবে। বিশ্ববাজারে নিজেদের জায়গা করে নেওয়ার জন্য পণ্যেও বৈচিত্র্য বাড়াতে হবে। আর দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে।  

[১১] এদিকে ভারতের অভাবনীয় অগ্রগতির পূর্বাভাস সম্পর্কে গোল্ডম্যান শ্যাকসের ভারতীয় অর্থনীতিবিদ শান্তনু সেনগুপ্ত বলেন, আগামী দুই দশকে আঞ্চলিক অর্থনীতির মধ্যে ভারতের নির্ভরতার অনুপাত হবে সবচেয়ে কম। সূত্র: সিএনবিসি

[১২] তিনি বলেন, ভারতের ধারাবাহিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে দেশটির শ্রমশক্তি। পাশাপাশি দেশটিকে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে হবে। সার্ভিস সেক্টর ও অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না